পোস্টগুলি

জুলাই, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ভাষার নামে একটি দেশ ও জাতির নাম "বাঙ্গালী"

ছবি
মানুষ সামাজিক জীব। একে অপরের কাছে তার ভাবনা-চিন্তা, সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা ইত্যাদি অনুভূতি প্রকাশ করে ভাষার মাধ্যমে। এ ভাষার মাধ্যমে মানু‌ষে মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। বাঙ্গালীর মুখের ভাষা বা মাতৃভাষা "বাংলা"। বাংলা, বাঙ্গালী এবং বাংলাদেশ এর সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের দূরত্ব দিন দিন কোথায় চলে যাচ্ছে এটা নিয়ে কেউ এক‌টি বারের জন্য হলেও কি ভেবে দেখেছেন? দেখুন, ফার্সির আগে আমাদেরকে সংস্কৃতি শিখতে হয়েছে তারপর শিখেছি ইংরেজি। পাকিস্তান আমলে উর্দু চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। আমরা বললাম চলবেনা "বাংলা চাই"। সেই দাবি নিয়ে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হলো কিন্তু বাংলা কোথায়? বাংলা চলছে? না আজ বাংলা চলছে না। কিন্তু আমরা বাঙ্গালীরা কি জানি কোথা এবং কেমন করে পেয়েছি এই মাতৃভাষা বাংলাকে? এজন্যই মাতৃভাষা সম্পর্কে কিছু বলার আগে আজ "বাংলা", "বাঙ্গালী" এবং "বাংলাদেশ" কে নিয়ে কিছু কথা বলা একান্তই প্রয়োজন হয়ে উঠেছে।৫২'এর ভাষা আন্দোলন বা ৭১'এর মহান মুক্তিযুদ্ধের পর আমরা বাঙ্গালী হয়েছি তা কিন্তু নয়। আমাদের বাঙ্গালী হয়ে ওঠার পেছনে আছে হাজা...

অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯ '

ছবি
পৃথিবীর এক‌টি মাত্র স্থানে গেলে আমার মাথা ঠিক থাকে না আর সেই স্থানটি হচ্ছে "লাইব্রেরী"  😋  নিরবিচ্ছিন্নভাবে চিন্তা করা এবং প্রশ্নের উত্তর খোজার জন্য এর থেকে ভালো কোনো ঠিকানা আমার জানা নেই 🧐  আর যখন যায় বই মেলায়! নিজের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না  :p  একজন সাথে না থাকলে পকেট শূন্য হতে সময় লাগে না!  😂  পকেট শুন্য হবার পরও মনে হয় একজন বিনিয়োগকারী দরকার যে আরও বই কেনার জন্য বিনিয়োগ করবে  😁 😁  এইবার আমাকে নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ Md. Humayon Kabir । প্রতিবছরের অপেক্ষা, বাঙ্গালির প্রাণের মেলা "বই মেলা" ...অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯ 'এ প্রথম দিনের সংগ্রহ :সেবা প্রকাশনীর "মাসুদ রানা", বাংলা একাডেমির "লালন" বিষয়ক কিছু বই, প্রথমার কিছু উপন্যাস, শ্রীবেনীমাধব শীল সম্পাদিত "রামায়ণ" এবং "মহাভারত"  😍 😍

আর কথা হবে না, বাতাস সেদিন একদম থেমে যাবে !!!!

ছবি
মানুষের জীবনকে সিনেমার গল্পের সাথে তুলনা করা চলে না কারন এ জীবন চক্রের গল্প তিন বা সাড়ে তিন ঘন্টার ভেতরে প্রকাশ করা সম্ভব না !! অদ্ভুত এক একাকিত্বের মোহময়তা ঘিরে থাকে আমাদের জীবনে সারাক্ষণ জুড়ে । প্রতিটা জীবন জুড়ে রয়েছে অপ্রাপ্তি !! শুরুতে কিছুটা সময় আনন্দে কাটে, অনেক আনন্দ !!! তারপর একাকিত্ব ভর করে, কি যেন নেই, কে যেন নাই ! সময়ের সাথে সাথে সময় কমতে থাকে আর এটাই হচ্ছে বাস্তব ! এই নির্মম খেলা যখন চলছে তখন একে একে অনেক চরিত্র জীবনটাকে রাঙ্গিয়ে দিতে আসে, মনে হয় এটাই প্রাপ্তি । এ দিকে সময় চলে যাচ্ছে সময়ের মত করে ..... তাকিয়ে দেখার মত সময় নেই !! কোনো এক বাকে এসে জীবন হঠাৎ প্রশ্ন করে " তুমি আমাকে কি দিয়েছ " !! উত্তর দিতে গিয়ে শব্দ গুলো এলোমেলো হতে পারে কারন চারিদিক তখন একা, বাতাসে একাকিত্ব !! নিজেকে ছাড়া মানুষ কাউকে বুঝে না,বুঝতেও চায় না। তখনো চাওয়া পাওয়ার হিসেব মেলানো বাকি। একটা সময় কে যেন বলে উঠবে, জীবন এত কঠিন কেন? জীবন হাসতে হাসতে বলবে "এখনো অনেক সময় বাকি" ... দেখ চারিদিকে কত রঙ !! মনে হবে অভিযোগ করি কিন্তু কার কাছে, আর কিভাবে? এদিকে সময় বড্ড কম ... একটা সময় মনে হ...

আমি পাগল হতে চাইইইইইইইইইইইরে পাগল ... .. . !!!

ছবি
নিজেকে চিনতে বড্ড দেরি করে ফেলছি ! সময় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কি না? অনেক কথা ভেসে আসে ভেতর থেকে। একটা পোষা পাগল থাকে, অনেক ভেতরে !! সারাক্ষণ পাগলামি করে সে, ভেতরে থাকা পাগলটায় ভাল !! পাগলদের অনেক সুবিধা, নিজেকে চেনার জন্য আছে অফুরন্ত সময়। থাকে না অতীত,বর্তমান বা ভবিষ্যৎ । কাউকে দেখার সাধ জাগে না !!! কোনো কিছুর প্রতি টান থাকে না কিংবা কোনো অদৃশ্য মায়া !! এদেরকে কেউ মায়াজালে আটকাতে পারে না, কষ্ট দিতে পারে না। এরা পাগল ! এদের হাসতে কোনো মানা নেই, কেউ এদেরকে কাঁদতেও বলে না, এদের হাসি দ েখলে মানুষ হাঁসে । হো হো করে, হি হি করে কখনো আবার বিকট শব্দ করে !! এরা কারো কাছে নালিশ করতে যানে না, এইজন্যই এদেরকে নিয়ে কারো মাথা ব্যাথা নেই । একটুখানি ঘুমনোর জন্য ঘুম আর বেঁচে থাকার জন্য একটু খাবার, এইতোহ !! কারো কাছে এদের কোনো দাবী থাকে না আর এদের কাছে কারো কোনো চাওয়া থাকে না। এরা পাগল। কেউ ভালবাসতে যায় না এরাও কাউকে ভালবাসতে যায় না। এদের কোনো আবেগ থাকে না, ব্যাথা থাকে না !!! এরা শুধু ভাবতে যানে। ভাবনা ভাবনা আর ভাবনা ... .. এরা শুধু ভাবতেই যানে, ভাবতে ভালবাসে। মানুষ এদের নাম দিয়েছে "পাগল" । আমি পাগ...

একতারা ভাস্কর্য, একতারা চত্বর হরিণাকুন্ডু

ছবি
সবাই সব কথা বলেই দিয়েছে ! আমি আর নতুন করে কি বলব । হরিণাকুন্ডু, হরিশপুর আর লালন শাহ্‌ কে নিয়ে কে কবে ভেবেছে বলুনতো ? আমরা যারা হরিণাকুন্ডুর মানুষ তারাই বা কতটুকু ভেবেছিলাম ? রাজনৈতিক কোনো বিষয় এটা ছিল না যেখানে পক্ষপাতিত্ব করার সুযোগ থাকে । এটা ছিল হরিণাকুন্ডুর গণমানুষের প্রাণের দাবী, মাটির দাবি "একটি একতারা " । আমি আবারো বলছি এটা কোনো রাজনৈতিক বিষয় ছিল না, এটা ছিল একটা পাগল মানুষের আপ্রাণ চেষ্টা !! যে বার বার থমকে গেছে কিন্তু হাল ছাড়েনি । আবার স্বপ্ন দেখেছে ... আমি নিজেকে এই  জন্যই ভাগ্যবান বলব যে, এই পাগল মানুষটার সাথে থেকে কবে যেন আমিও তার স্বপ্নে ঢুকে গেলাম !! সেদিন রাতে যখন ভায়ের সাথে কথা বলছিলাম ঘরটা ছিল অন্ধকার, তার পরেও আমি তার প্রতিটা কথাতে চেহারার পরিবর্তন বোঝার চেষ্টা করছিলাম ... একটা কথা আমি এখনো স্পষ্ট শুনতে পাই " হৃদয়, হরিণাকুণ্ডুর জন্য কিছু একটা কর" । কেন যানিনা মানুষটা যতবার কিছু করতে বলেছে কেমন করে যেন আমি সেগুলো করে ফেলেছি ! সেই বাউল হাট থেকে শুরু ... কি করা যায় ভাই ? আমি তাকে অন্য সবার মত বিশেষ ভাবে বিশেষায়িত করতে পারব না তবে এতটুকুই বলব সেদিন ...

শুধুমাত্র একটা বাড়ি নয়, এর পেছনে থাকা প্রেম, ত্যাগ এবং একজন মুরারীর কথা !

ছবি
অনেক দিন ধরে ভাবছিলাম একটা গল্প বলব (সংক্ষেপে) । ঠিক গল্প বললে ভুল হবে, এটাকে জবানবন্দি বলা উচিৎ ! হ্যা, আমার দাদা মৃত গোলাম মোস্তফা মিয়ার কাছ থেকে দীর্ঘ ৫-৬ বছর যাবৎ আমি এই গল্পটা শুনেছি শত শত বার । শুধুমাত্র একটা বাড়ি নয়, এর পেছনে থাকা প্রেম, ত্যাগ এবং একজন মুরারীর কথা ! শুনেছি কিভাবে বাড়িটির নাম মিয়ার দালান হলো এবং কিভাবে মিয়া পাড়া হলো । এই সঠিক ইতিহাস অনেকের অজানা আর যারা যতটুকু যানে তা সম্পূর্ন ভুল !! ১৯৫ বছর আগে ফিরে যাব তবে তার আগে "মিয়ার দালান" নামটার সাথে পরিচয় আমাদের হোক ! ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানার দিগনগর গ্রামের ইমান আলী মিয়ার চার ছেলে ১) গোলাম মোস্তফা মিয়া ২) ইসমাইল মিয়া ৩) বদর মিয়া ৪) হায়দার মিয়া আজ থেকে ৫৬ বছর আগে (১৯৬২) সালে ঝিনাইদহ শহরে এসে জানতে পারেন পাশের গ্রামে ( সে সময়ের পোড়াহাটি ইউনিয়নের ১২২ নাম্বার মৌজায় ) একটি পুরোনো বাড়ি বিক্রি হবে । ঝিনাইদহ সদর শহর থেকে এই গ্রামের দুরুত্ব ২.৫ কি: মি: , নবগঙ্গা নদীর উত্তর ধারে দাড়িয়ে থাকা দোতলা বাড়িটা ৫৬ বছর আগে দেখতে অসম্ভব সুন্দর ছিল !!! চুন-সুড়কির সঙ্গে ইটের গাঁথুনিতে তৈরি । দেয়াল ২৫ ইঞ্চি পুরু । উত্তর-দক্ষিণ...

উড়ে চলেছি বাতাসের ভেলায়, শূন্যতে অসংখ্য গল্প !! আমার শূন্যতায়, আমার অনুভবে ...

ছবি
শুন্য (০) ... গণিত শাস্ত্রে শূন্য’র ব্যবহার না থাকলে আজ আমরা হিসাব শূন্যতায় ভুগে মরতাম !!! আর সবথেকে বড় কথা হলো পৃথিবীটা সৌ্রজগতের মাঝখানে শূন্যে ঝুলে আছে। এতে করে এটা বলা যেতে পারে যে, জগতের সবকিছুই শূন্যের মাঝে অবস্থান করছে। আরে শুন্য থেকেই তো সব কিছুর শুরু। ০,১,২,৩,৪...... !! কিন্তু যখন এই শূন্যের আশে পাশে কিছু থাকে না, তখন ঐ আশপাশের জায়গাটাতে সৃষ্ট অবস্থার নামকেই বলা হয় “ শূন্যতা ”। জীবনটা হলো সেই বিচ্ছিন্ন কিছু সংখ্যা, সেই বিচ্ছিন্ন কিছু সমীকরণ .. যে সংখ্যা গুলোকে এখান থেখে ওখান থেকে কুড়িয়ে নিয়ে এসে হিসেবের খাতা ভরাতে হয় !! শূন্যতা পূরণ করতে হয় । 'শূন্যতা’ অনেক বড় একটা ভাবনার জায়গা ! শূন্যতা কতধরনের হতে পারে তা হয়ত আমি বলতে পারব না তবে কিছু কিছু শূন্যতা আমার হৃদয় ছুয়ে গেছে ! আমি যখন পরিবার, বন্ধু, আত্মীয়, শহর এবং সব কিছু ছেড়ে শূন্যে অবস্থায় বের হলাম তখন থেকেই আমার ওপর শূন্যতা ভর করে !! অনেক মানুষের মাঝে থাকলেও সে শূন্যতা আমি প্রতিটা মূহূর্তে অনুভব করতাম। হৃদয়ে ভালোবাসা শূন্যতা থাকার কারনে সে সময়ে আকাশ পাতাল অনেক ধরনের চিন্তা ভাবনা শুন্য মাথার ভেতর সারাক্ষন আড্ডা দিত ! ব্যাচ...

একুশ আমার মায়ের স্বপ্নের নাম !

ছবি
"একুশ আমার মায়ের স্বপ্নের নাম" . একটি শিশু জন্মের পর তার মায়ের কোলে চরে, হাত ধরে একটু একটু করে বলতে শেখে ! মা খুব যত্ন করে পরিচয় করিয়ে দেয় বর্ণমালার সাথে, ভাষার সাথে। অ- তে অজগর বলা শেখার সাথে সাথে সে এটাও যেনে যায় এটি একটি ভয়ংকর প্রাণি ! এভাবে একসময় পরিচিত হয় পরিবারের সাথে, পরিবেশের সাথে এবং সমাজের সাথে। আসলে মায়ের মুখের বুলি থেকেই তো শিশুটির বলতে শেখা। পরম আদরের ভাষা মায়ের ভাষা, মাতৃভাষা । চোখ বন্ধ করলেই আবছা মনে পরে, মা বলছে আর আমি শুনছি, এক সুমধুর কণ্ঠস্বর। মা আমাকে নাম ধ রে ডাকছে আর আমি মা-মা বলে চিৎকার করছি। মা’কে যদি মা বলে ডাকতেই না পারলাম তাহলে বাচব কি করে ? বায়ান্নর অগ্নিঝরা একুশে ফেব্রুয়ারী দিনটিতে গোটা বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ নাম না জানা অসংখ্য শহীদ ঢাকার রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে অকাতরে প্রাণ উৎসর্গ করেছিল শুধুমাত্র মা’কে মা বলে ডাকার অধিকার পাওয়ার জন্য, মায়ের ভাষার জন্য । তাদের আত্মদান প্রতিটি মায়ের ভাষার অধিকার । ২১ একটি স্বপ্নের নাম, আমার মায়ের সপ্ন । ২১ না এলে ভাষার মৃত্যুতে একটি জাতির মৃত্যু হতো, স্বপ্নের মৃত্যু হতো, বাকশক্তি ...

প্রবাহমান সময় !

ছবি
সময় প্রবাহমান.... নিজের গতিতে চলতেই থাকে। মানুষও সেই সময়ের সাথে ভেসে যায় এক ঘাট থেকে অন্য ঘাটে। পিছনে ফেলে যায় কিছু সুখ, দুঃখ বিজরিত মুহুর্ত। প্রতিদিন আমাদের এই বেঁচে থাকার লড়াই প্রকৃতির সাথে, সমাজের সাথে, পাওয়া না পাওয়া, মিথ্যা ও সমঝোতার সাথে। যে মানুষ এই বহুরুপী লড়াই এর কাছে পরাজয় মেনে নেয় সেই হেরে যায়!! হেরে যায় জীবনের কাছে, হেরে যায় নিজের কাছে! জীবনের বাস্তবতা বড় কঠিন। মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী চলেনা একেক সময়, একেক দিকে এঁকে বেঁকে চলে। নদীর স্রোতকে যেমন নিয়ন্ত্রন করা যায় না, প্রবাহমান জীবনের গতিকেও নিয়ন্ত্রন করা যায়না। নিজেকে সেই গতিতে মানিয়ে নেয়ার নামই বেঁচে থাকা। আমরা অনেক সময় নিজের জন্যই কেবল বেঁচে থাকি। কিছুটা স্বার্থপর এর মত। আমি কি চেয়েছি, আমি কি পেয়েছি… সেটাই যেন মুখ্য বিষয় .. !!! ভালবাসায় সফলতা আসেনি, গাজা, মদ ,ইয়াবা খাওয়া শুরু করলাম !! ভাল চাকরি হয়নি, হতাশায় ডুবে গেলাম। কাছের মানুষগুলো প্রতারনা করেছে, আমিও প্রতারনা শুরু করলাম !! জীবনের গতির সাথে তাল মিলিয়ে সামনে এগুতে পারলাম না, আত্মহত্যা করে ফেললাম ! বাহ বাহ বাহহ !! আমরা কি কখনো ভাবি, এই দেহ, এই সৌন্দর্য , এই জীব...

আমার এক খুশিতেই আমি খুশি !

ছবি
আমার একটা খুশি আছে ! যে আমাকে ডাক দেয়ার সময় বিশ্ব হারামজাদা , ফাজিল , বাদর , পন্ডিত এমন অনেক ধরনের উপমা ব্যবহার করে থাকে ।  ঈদের দিন পৃথিবীতে এসেছিল বলে দাদা নাম রেখেছিল খুশি আর তার পর থেকেই ঈদগুলো সব খুশির ঈদ হয়ে গেল ।  একে নিয়ে বেশি কিছু লিখব না শুধু এটুকুই বলব , বড় বোন বলে ওকে কখনো ভয় কিংবা শ্রদ্ধা করিনি , ভালবেসেছি সবটুকু দিয়ে । ছোট থেকেই নাম ধরে ডাকতে পছন্দ করি ।  আমার অগোছালো জীবনের সবগুলো অধ্যায় ওর মুখস্থ , গোপন রাখতে গিয়েও কখনো তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি , যদিও খুশি আমার গল্ পের একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ! খুশি , আমার একমাত্র বড় বোন । যদি কখনো রান্না করতে যায় তাহলে রান্না ঘরের ভেতর থেকে যুদ্ধের শব্দ শোনা যায় । তারপর , আমার সামনে এসে বলবে “ দেখ ভাই , হাতের কি অবস্থা ... দেখ নখের কি অবস্থা ... লবণ ঠিক আছে কিনা দেখ হা হা হা ইত্যাদি ইত্যাদি । আমি ওর থেকে ছোট্ট ছোট্ট জিনিসগুলোর ভাগ নিতে পছন্দ করি । ওর মুখ টিপতে আমার খুব ভাল লাগে । একে নিয়ে বেশি কিছু লিখব না শুধু এটুকুই বলব , একে ছাড়া প্রিন্স অফ পার্সিয়ার একটা লেভেলও পার করতে...

সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে।

ছবি
" ইহার জীবনী লিখিবার কোন উপকরণ পাওয়া কঠিন। নিজে কিছু বলিতেন না। শিষ্যরা তাহার নিষেধক্রমে বা অজ্ঞতাবশতঃ কিছুই বলিতে পারে না " তার মৃত্যুর পনেরো দিন পর কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত হিতকরী পত্রিকার সম্পাদকীয় নিবন্ধে এতটুকুই বলা হয়। তিনি জাত পাত ধর্ম বর্ণ সবকিছুর ভেদাভেদ ভুলে মানব ধর্মকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন বলেই তাকে সর্বপ্রথম " মহাত্মা " উপাধি দেওয়া হয় .... নিজের সম্পর্কে তিনি তার গানের মধ্যে বলে গেছেন  " সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে  লালন বলে জাতের কিরুপ, দেখলাম না এই নজরে  " - কাঙাল হরিনাথ তাঁকে জানতেন, মীর মশাররফ চিনতেন, ঠাকুরদের হাউসবোটে যাতায়াত ছিল, লেখক জলধর সেন বা অক্ষয় কুমার মৈত্রেয় তাঁকে সামনাসামনি দেখেছেন কতবার, গান শুনেছেন, তবু জানতে পারেন নি লালনের জাতপরিচয়, বংশধারা বা ধর্ম। ( সুধীর চক্রবর্তী ) -কিছু সূত্রে পাওয়া যায় লালন শাহ ১৭৭৪ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার (বর্তমান বাংলাদেশের) ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ড উপজেলার হরিশপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ( উইকিপিডিয়া ) -লালনের সম্পর্কে বিশদভাবে কোনো তথ্য পাওয়া যাইনা। তার সবচেয়ে অবিকৃত তথ...

সবাই স্বার্থের দর কষাকষি নিয়ে ব্যস্ত !!

ছবি
এই বেচা কেনার পৃথিবীতে কিছু মানুষ থাকে যারা নিতান্তই দর্শক ! যেখানে সবাই স্বার্থের দর কষাকষি নিয়ে ব্যস্ত !! মানুষগুলো নির্বাক হয়ে তাকিয়ে থাকে, বোঝার চেষ্টা করে কিন্তু দু’চোখে দেখেও কিছু বুঝতে পারে না । অনেকে নতজানু হয়ে স্বার্থ আদায় করছে !! কেউ বা নিজ সত্তা বিসর্জন দিয়ে কিনে নিচ্ছে আবার কেউ কেউ আভিজাত্যের অহঙ্কার দিয়ে । কোথাও কোথাও চলছে ভালোবাসার দর-দাম , কেউ কিনছে আবার কেউ বেচছে পাশাপাশি কেউ কেউ । ঐ দর্শকসারি থেকেই কিছু মানুষ হঠাৎ করে নতুন দোকান খুলে বসে , চলে স্বার্থের দর কষাকষি … হিসাব খাতার বাইরে থাকা মানুষগুলো একসময় খাতাই যুক্ত হয় সাথে কিছু পুরাতন নাম কাটাও পরে , খাতা শেষ হলে নতুন খাতা ! এইতো গড় .. ….

জামাল নজরুল ইসলাম এবং ঝিনাইদহ !

ছবি
জামাল নজরুল ইসলাম ... ১৯৩৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহ শহরে জন্মগ্রহণ করেন !! একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পদার্থবিদ ও গণিতবিশারদ। ঝিনাইদহ জেলার অনেকে এই মহান বিজ্ঞানীর নাম পর্যন্ত জানে না !! ২০০১ সালের মাঝামাঝি সময়ে পৃথিবী অচিরে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে- এ রকম একটা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল সারা বিশ্বে। আতঙ্ক মারাত্মক হয়ে দেখা দেয়ার আগেই আমাদের সব উদ্বেগকে প্রশমিত করেছিল যাঁর অভয়বাণী তিনি জামাল নজরুল ইসলাম (আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে যিনি জে.এন. ইসলাম নামে পরিচিত)। তাঁর প্রিয় বন্ধুদের মধ্য ১  জন "স্টিফেন হকিং" আরো ছিলেন আবদুস সালাম, জোসেফসন এবং অমর্ত্য সেন । ঝিনাইদহের স্কুল কলেজগুলোতে জে.এন. ইসলাম এর কথা কি কখনো বলা হয় ? ১৯৬৭ সালে জামাল নজরুল ইসলাম কেমব্রিজের ইনস্টিটিউট অব থিওরেটিক্যাল অ্যাস্ট্রোনমিতে কাজ শুরু করেন । হকিং পরে এসে সেখানে যোগ দেন। বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত 'কৃষ্ণ বিবর' (ব্ল্যাকহোল) এবং রাহাত-সিরাজ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত 'মাতৃভাষা ও বিজ্ঞান চর্চা এবং অন্যান্য প্রবন্ধ' ও 'শিল্প সাহিত্য ও সমাজ' নামক বইগুলি তাঁর লেখা অন্যান্য বইয়ের মধ্যে অন্যতম। জামাল নজ...

যদি গুন না থাকে তবে অভিনয় করো ” !!!

ছবি
বিশ্বখ্যাত নাট্যকার উইলিয়াম শেক্সপিয়র তাঁর 'অ্যাজ ইউ লাইক ইট' নাটকে বলেছিলেন - All  the world's a stage, And  all the men and women merely players; They  have their exits and their entrances, And one man in his time plays many parts… “ এই বহুল ব্যবহূত উদ্ধৃতিতে শেক্সপিয়র দুনিয়াটাকে যেমন রঙ্গমঞ্চ বলেছেন, তেমনি এই পৃথিবীর সব মানুষকেই অভিনেতা বলেছেন। পৃথিবীটা মুক্ত একটি রঙ্গমঞ্চ । মঞ্চে থাকাকালে আমরা সবাই নানা ভূমিকায় অভিনয় করে যাই, কেউ কেউ একাধিক ভূমিকায়ও অভিনয় করি ।  আজ আমার খুব কাছের ছোট ভাই অনেক আবেগ দিয়ে ছোট্ট একটি গল্প করল - “বুঝলেন ভাই, মিমু মাসুম কে নিজের চেয়েও বেশী ভালো বাসে আর মাসুমতো মিমুর জন্য জীবনও দিয়ে দিতে পারে!! কিছুদিন পর শুনতে পেলাম মিমু হাবিবকেউ নিজের চেযে বেশী ভালো বাসে!!! আর যে মাসুম মিমুর জন্য জীবন দিয়ে দিচ্ছিল সেই মাসুম আজ কাল তনুর জন্য জীবন দিতে সর্বদা প্রস্তুত!!! কি আজব , তাইনা ভাই ?? ” পাশ থেকে চায়ের দোকানদার হাফিজ চাচা বলে উঠল - "দুনিয়ার বাইরে যদি সত্যিই আরেকটি দুনিয়া থেকে থাকে তাহলে সেখানকার জীবেরা আমাদের কি আজব জীবই না ভাবে!!”...

সার্থক জনম মাগো তোমায় ভালবেসে

ছবি
কিছু দিন যাবৎ প্রায় সন্ধ্যায় একটা বাড়ির পাশ দিয়ে যেতে হয়, মাটির দেয়াল আর টিনের চাল সব মিলে একটাই থাকার ঘর , কোনো প্রাচীর নেই , ছোট্ট একটা রান্না ঘর .... বাড়ির পেছনে একটা বড় পুকুর ... দুই পাশে ধান ক্ষেত ... ঝিঁঝিপোকার আর ঘুগড়ার ঝাঝালো চিৎকার. শুনতে পাই ! প্রতিদিন সন্ধ্যায় হারিকেনের আলোতে পড়তে বসে ছোট্ট একটা ছেলে .. আর মায়ের কাছে তার হাজারটি প্রশ্ন ... ভেতরটা জুড়িয়ে যায় ! অনেক মায়া এ বাড়িতে .. প্রতি সন্ধ্যায় হারিকেনের আলোতে আর টিনের ওপরে থাকা চাদেঁর আলোতে আমি দেখতে পাই ছোট্ট ছেলেটির পড়া ফাকি দেয়ার দুষ্টু মিষ্টি কৌশল! !!!  সার্থক জনম মাগো জন্মেছি এ দেশে । সার্থক জনম মাগো তোমায় ভালবেসে  <3  

খেতে চাইতাম না বলে আগে ঘুম পাড়িয়ে তার পর ঘুমন্ত অবস্থায় খাওয়ানো হতো !!

ছবি
প্রত্যকেরই শিশুকালটা হয় একই রকমের   । যেমন , প্রথমে খাওয়া শেষ করা তার পর ঘুম   । কিন্তু আমার বেলায় সম্পূর্ন ভিন্ন !! খেতে চাইতাম না বলে আগে ঘুম পাড়িয়ে তার পর ঘুমন্ত অবস্থায় খাওয়ানো হতো   ! সকাল , দুপুর ও রাত বলে কোনো কথা ছিল না ! আর এই কঠিন কাজটি খুব ধৈর্য্য এবং আদরের সাথে বছরের পর বছর করে গেছেন আমার আম্মু  । সেই থেকে আজ অব্দি বাসায় থাকা অবস্থায় আমি কখনই নিজের হাতে খাইনা ! বদমাশ , বাদর কিংবা বিচ্চু এর কোনটায় আম্মুর মুখ থেকে কখনো বলতে শুনিনি তবে আমি যে প্রচন্ড দুরন্ত এটা খুব  ভাল করেই তিনি জানেন । স্কুলে যেমনখুশি তেমন সাঁজ প্রোগ্রামে আম্মু আমায় সুন্দর করে একজন প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধার আঙ্গিকে সাজিয়ে তুলল , বাসা থেকে বের হবার সময় দাদি একটা পান দিল যেন ফ্লেভারটা ভাল আসে কিন্তু, যা হবার তাই ! পান চিবিয়ে স্কুলে ঢুকতেই মাথা ঘুরে ঢপ !! তাই নিয়ে আম্মু সেদিন কত্ত কি যে করেছিল । আমার নামে কেউ নালিশ করলে তাকেই উল্টা বকা দেয়াটায় আম্মুর নিয়ম  ! “ কত্তবড় সাহস ! আমার ছেলের নামে বাজে কথা !!” ছোট্টবেলায় গলায় মাংস বেঁধে সম্ভাব্য মৃত্যুর হাত থেকে ...

জন্মের পর প্রথম আব্বু বলে ডাকতে শিখেছিলাম !!

ছবি
জন্মের পর প্রথম আব্বু বলে ডাকতে শিখেছিলাম  । তখন আমি অনেক ছোট , একদিন খাচ্ছিলাম না বলে দাদী আমায় বলেছিল “ খেয়ে নে নাহলে জুজু ধরে নিয়ে যাবে   !” আব্বু কাছেই ছিল । ঐ দিন রাতে যখন সবাই ঘুম আব্বু আমায় কোলে নিয়ে চুপি চুপি বাইরে বের হল ! কোথায় যাচ্ছি জিজ্ঞেস করতে উত্তরে আব্বু বলেছিল “ আজ রাতে জুজু ধরতে হবে  !! “ কিছু সময় খোঁজাখুঁজি করে জুজুর দেখা পেলাম না ! আব্বু বলেছিল “জুজু আমার খোকাকে দেখে ভয়ে লুকিয়েছে   !!” ফিরে এসে আমায় আবার ঘুম পারিয়ে দিল । পরদিন যখন আবার দাদী জুজুর ভয় দেখিয় ে খাওয়ার কথা বলেছিল আমার উত্তর ছিল “ জুজু আমাকে দেখে ভয় পায়  !! “ স্কুলে ভর্তি হতে গেলাম , স্যার দাঁত দেখে বলেছিল “ তোমার বয়স হয়নি ২ বছর পরে আসবা  !! “ বাসায় ফিরে সেকি কান্নাকাটি ... সেদিন ঝড়ের রাতে আব্বু আমায় বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে বলেছিল “ বই পড়বা ? “ আমি উত্তরে বলেছিলাম “হু” । আব্বু আমায় ১ টা বই পড়তে দিয়েছিল বইটার নাম “সে-উ-সেন !! কাজী আনোয়ার হোসেনের অনুবাদ করা সেবা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত ” । সেদিনকার সেই বইটায় ছিল অ-আ-ক-খ এর পর আমার জীবনের ২য় বই যা ২৫-...

মীর জাফররা যুগে যুগে কালে কালে থাকবে !

ছবি
স্বপ্ন হারিয়ে গিয়েছিল অনেক আগেই। সেই ক্লাইভ , মীর জাফররা আমাদের স্বপ্ন ছিনিয়ে নিয়েছিল , স্বপ্নের বুকে ছুরি চালিয়েছিল। তারপর কত শত দিন কেটে গেল , স্বপ্নের সঠিক ঠিকানা কেউ পেল না। কালক্রমে ব্রিটিশ জাতি থেকে পরিনত হওয়া গালি মীর জাফর নামটা বঙ্গদেশে নিষিদ্ধ হলো। স্বপ্নের বীজ বুনা শুরু হলো। প্রথম বিশ্বযুদ্ধেই হয়ত নিখিল ভারত স্বাধীনতা লাভ করতো। বঙ্গ ভঙ্গেই হয়তো বাংলাদেশ অনন্য উচ্চতায় পৌছে যেত। ক্ষুধিরামরা বাদ সাধল, বাধ্য করলো বঙ্গভঙ্গ রদ করতে। বাংলা আবার স্বপ্ন হারালো .. . ৩০ এর দিকে গর্জে উঠল আবার কিছু অকুতোভয় যোদ্ধারা। মাস্টারদা , আম্বিয়া , লোকনাথরা দখল করে নিল চট্টগ্রাম । স্বপ্নের যেন সন্ধান মিললো। এবারও মসনদের লোভে নতুন মীরজাফরের জন্ম হলো। আবার পিছিয়ে গেলাম .. ৩৯ এ আসলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। সুভাসরা আজাদ হিন্দূ ফৌজ নিয়ে যুদ্ধ ঘোষনা করলো। ইংরেজরা মার খাচ্ছে। এই সুযোগ , এবার বাদ সাধলো গান্ধী সাহেব , জহুরলাল নেহেরু সাহেবেরা। বলে উঠল , ইংরেজদের এই বিপদে...