একুশ আমার মায়ের স্বপ্নের নাম !

"একুশ আমার মায়ের স্বপ্নের নাম"
.
একটি শিশু জন্মের পর তার মায়ের কোলে চরে, হাত ধরে একটু একটু করে বলতে শেখে ! মা খুব যত্ন করে পরিচয় করিয়ে দেয় বর্ণমালার সাথে, ভাষার সাথে। অ- তে অজগর বলা শেখার সাথে সাথে সে এটাও যেনে যায় এটি একটি ভয়ংকর প্রাণি ! এভাবে একসময় পরিচিত হয় পরিবারের সাথে, পরিবেশের সাথে এবং সমাজের সাথে। আসলে মায়ের মুখের বুলি থেকেই তো শিশুটির বলতে শেখা। পরম আদরের ভাষা মায়ের ভাষা, মাতৃভাষা । চোখ বন্ধ করলেই আবছা মনে পরে, মা বলছে আর আমি শুনছি, এক সুমধুর কণ্ঠস্বর। মা আমাকে নাম ধরে ডাকছে আর আমি মা-মা বলে চিৎকার করছি। মা’কে যদি মা বলে ডাকতেই না পারলাম তাহলে বাচব কি করে ? বায়ান্নর অগ্নিঝরা একুশে ফেব্রুয়ারী দিনটিতে গোটা বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ নাম না জানা অসংখ্য শহীদ ঢাকার রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে অকাতরে প্রাণ উৎসর্গ করেছিল শুধুমাত্র মা’কে মা বলে ডাকার অধিকার পাওয়ার জন্য, মায়ের ভাষার জন্য । তাদের আত্মদান প্রতিটি মায়ের ভাষার অধিকার । ২১ একটি স্বপ্নের নাম, আমার মায়ের সপ্ন । ২১ না এলে ভাষার মৃত্যুতে একটি জাতির মৃত্যু হতো, স্বপ্নের মৃত্যু হতো, বাকশক্তি রহিত হতো। হারিয়ে যেত রবীন্দ্র, নজরুল, লালন, আলাওল চিরতরে। ২১ না এলে আমার মায়ের স্বপ্নের মৃত্যু হতো। বাড়ির কাছে আরশীনগর অনেক দূরে হারিয়ে যেত । 


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

একতারা ভাস্কর্য, একতারা চত্বর হরিণাকুন্ডু

রূপ; বহুরূপ !

সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে।