পোস্টগুলি

ভাষার নামে একটি দেশ ও জাতির নাম "বাঙ্গালী"

ছবি
মানুষ সামাজিক জীব। একে অপরের কাছে তার ভাবনা-চিন্তা, সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা ইত্যাদি অনুভূতি প্রকাশ করে ভাষার মাধ্যমে। এ ভাষার মাধ্যমে মানু‌ষে মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। বাঙ্গালীর মুখের ভাষা বা মাতৃভাষা "বাংলা"। বাংলা, বাঙ্গালী এবং বাংলাদেশ এর সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের দূরত্ব দিন দিন কোথায় চলে যাচ্ছে এটা নিয়ে কেউ এক‌টি বারের জন্য হলেও কি ভেবে দেখেছেন? দেখুন, ফার্সির আগে আমাদেরকে সংস্কৃতি শিখতে হয়েছে তারপর শিখেছি ইংরেজি। পাকিস্তান আমলে উর্দু চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। আমরা বললাম চলবেনা "বাংলা চাই"। সেই দাবি নিয়ে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হলো কিন্তু বাংলা কোথায়? বাংলা চলছে? না আজ বাংলা চলছে না। কিন্তু আমরা বাঙ্গালীরা কি জানি কোথা এবং কেমন করে পেয়েছি এই মাতৃভাষা বাংলাকে? এজন্যই মাতৃভাষা সম্পর্কে কিছু বলার আগে আজ "বাংলা", "বাঙ্গালী" এবং "বাংলাদেশ" কে নিয়ে কিছু কথা বলা একান্তই প্রয়োজন হয়ে উঠেছে।৫২'এর ভাষা আন্দোলন বা ৭১'এর মহান মুক্তিযুদ্ধের পর আমরা বাঙ্গালী হয়েছি তা কিন্তু নয়। আমাদের বাঙ্গালী হয়ে ওঠার পেছনে আছে হাজা...

অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯ '

ছবি
পৃথিবীর এক‌টি মাত্র স্থানে গেলে আমার মাথা ঠিক থাকে না আর সেই স্থানটি হচ্ছে "লাইব্রেরী"  😋  নিরবিচ্ছিন্নভাবে চিন্তা করা এবং প্রশ্নের উত্তর খোজার জন্য এর থেকে ভালো কোনো ঠিকানা আমার জানা নেই 🧐  আর যখন যায় বই মেলায়! নিজের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না  :p  একজন সাথে না থাকলে পকেট শূন্য হতে সময় লাগে না!  😂  পকেট শুন্য হবার পরও মনে হয় একজন বিনিয়োগকারী দরকার যে আরও বই কেনার জন্য বিনিয়োগ করবে  😁 😁  এইবার আমাকে নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ Md. Humayon Kabir । প্রতিবছরের অপেক্ষা, বাঙ্গালির প্রাণের মেলা "বই মেলা" ...অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯ 'এ প্রথম দিনের সংগ্রহ :সেবা প্রকাশনীর "মাসুদ রানা", বাংলা একাডেমির "লালন" বিষয়ক কিছু বই, প্রথমার কিছু উপন্যাস, শ্রীবেনীমাধব শীল সম্পাদিত "রামায়ণ" এবং "মহাভারত"  😍 😍

আর কথা হবে না, বাতাস সেদিন একদম থেমে যাবে !!!!

ছবি
মানুষের জীবনকে সিনেমার গল্পের সাথে তুলনা করা চলে না কারন এ জীবন চক্রের গল্প তিন বা সাড়ে তিন ঘন্টার ভেতরে প্রকাশ করা সম্ভব না !! অদ্ভুত এক একাকিত্বের মোহময়তা ঘিরে থাকে আমাদের জীবনে সারাক্ষণ জুড়ে । প্রতিটা জীবন জুড়ে রয়েছে অপ্রাপ্তি !! শুরুতে কিছুটা সময় আনন্দে কাটে, অনেক আনন্দ !!! তারপর একাকিত্ব ভর করে, কি যেন নেই, কে যেন নাই ! সময়ের সাথে সাথে সময় কমতে থাকে আর এটাই হচ্ছে বাস্তব ! এই নির্মম খেলা যখন চলছে তখন একে একে অনেক চরিত্র জীবনটাকে রাঙ্গিয়ে দিতে আসে, মনে হয় এটাই প্রাপ্তি । এ দিকে সময় চলে যাচ্ছে সময়ের মত করে ..... তাকিয়ে দেখার মত সময় নেই !! কোনো এক বাকে এসে জীবন হঠাৎ প্রশ্ন করে " তুমি আমাকে কি দিয়েছ " !! উত্তর দিতে গিয়ে শব্দ গুলো এলোমেলো হতে পারে কারন চারিদিক তখন একা, বাতাসে একাকিত্ব !! নিজেকে ছাড়া মানুষ কাউকে বুঝে না,বুঝতেও চায় না। তখনো চাওয়া পাওয়ার হিসেব মেলানো বাকি। একটা সময় কে যেন বলে উঠবে, জীবন এত কঠিন কেন? জীবন হাসতে হাসতে বলবে "এখনো অনেক সময় বাকি" ... দেখ চারিদিকে কত রঙ !! মনে হবে অভিযোগ করি কিন্তু কার কাছে, আর কিভাবে? এদিকে সময় বড্ড কম ... একটা সময় মনে হ...

আমি পাগল হতে চাইইইইইইইইইইইরে পাগল ... .. . !!!

ছবি
নিজেকে চিনতে বড্ড দেরি করে ফেলছি ! সময় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কি না? অনেক কথা ভেসে আসে ভেতর থেকে। একটা পোষা পাগল থাকে, অনেক ভেতরে !! সারাক্ষণ পাগলামি করে সে, ভেতরে থাকা পাগলটায় ভাল !! পাগলদের অনেক সুবিধা, নিজেকে চেনার জন্য আছে অফুরন্ত সময়। থাকে না অতীত,বর্তমান বা ভবিষ্যৎ । কাউকে দেখার সাধ জাগে না !!! কোনো কিছুর প্রতি টান থাকে না কিংবা কোনো অদৃশ্য মায়া !! এদেরকে কেউ মায়াজালে আটকাতে পারে না, কষ্ট দিতে পারে না। এরা পাগল ! এদের হাসতে কোনো মানা নেই, কেউ এদেরকে কাঁদতেও বলে না, এদের হাসি দ েখলে মানুষ হাঁসে । হো হো করে, হি হি করে কখনো আবার বিকট শব্দ করে !! এরা কারো কাছে নালিশ করতে যানে না, এইজন্যই এদেরকে নিয়ে কারো মাথা ব্যাথা নেই । একটুখানি ঘুমনোর জন্য ঘুম আর বেঁচে থাকার জন্য একটু খাবার, এইতোহ !! কারো কাছে এদের কোনো দাবী থাকে না আর এদের কাছে কারো কোনো চাওয়া থাকে না। এরা পাগল। কেউ ভালবাসতে যায় না এরাও কাউকে ভালবাসতে যায় না। এদের কোনো আবেগ থাকে না, ব্যাথা থাকে না !!! এরা শুধু ভাবতে যানে। ভাবনা ভাবনা আর ভাবনা ... .. এরা শুধু ভাবতেই যানে, ভাবতে ভালবাসে। মানুষ এদের নাম দিয়েছে "পাগল" । আমি পাগ...

একতারা ভাস্কর্য, একতারা চত্বর হরিণাকুন্ডু

ছবি
সবাই সব কথা বলেই দিয়েছে ! আমি আর নতুন করে কি বলব । হরিণাকুন্ডু, হরিশপুর আর লালন শাহ্‌ কে নিয়ে কে কবে ভেবেছে বলুনতো ? আমরা যারা হরিণাকুন্ডুর মানুষ তারাই বা কতটুকু ভেবেছিলাম ? রাজনৈতিক কোনো বিষয় এটা ছিল না যেখানে পক্ষপাতিত্ব করার সুযোগ থাকে । এটা ছিল হরিণাকুন্ডুর গণমানুষের প্রাণের দাবী, মাটির দাবি "একটি একতারা " । আমি আবারো বলছি এটা কোনো রাজনৈতিক বিষয় ছিল না, এটা ছিল একটা পাগল মানুষের আপ্রাণ চেষ্টা !! যে বার বার থমকে গেছে কিন্তু হাল ছাড়েনি । আবার স্বপ্ন দেখেছে ... আমি নিজেকে এই  জন্যই ভাগ্যবান বলব যে, এই পাগল মানুষটার সাথে থেকে কবে যেন আমিও তার স্বপ্নে ঢুকে গেলাম !! সেদিন রাতে যখন ভায়ের সাথে কথা বলছিলাম ঘরটা ছিল অন্ধকার, তার পরেও আমি তার প্রতিটা কথাতে চেহারার পরিবর্তন বোঝার চেষ্টা করছিলাম ... একটা কথা আমি এখনো স্পষ্ট শুনতে পাই " হৃদয়, হরিণাকুণ্ডুর জন্য কিছু একটা কর" । কেন যানিনা মানুষটা যতবার কিছু করতে বলেছে কেমন করে যেন আমি সেগুলো করে ফেলেছি ! সেই বাউল হাট থেকে শুরু ... কি করা যায় ভাই ? আমি তাকে অন্য সবার মত বিশেষ ভাবে বিশেষায়িত করতে পারব না তবে এতটুকুই বলব সেদিন ...

শুধুমাত্র একটা বাড়ি নয়, এর পেছনে থাকা প্রেম, ত্যাগ এবং একজন মুরারীর কথা !

ছবি
অনেক দিন ধরে ভাবছিলাম একটা গল্প বলব (সংক্ষেপে) । ঠিক গল্প বললে ভুল হবে, এটাকে জবানবন্দি বলা উচিৎ ! হ্যা, আমার দাদা মৃত গোলাম মোস্তফা মিয়ার কাছ থেকে দীর্ঘ ৫-৬ বছর যাবৎ আমি এই গল্পটা শুনেছি শত শত বার । শুধুমাত্র একটা বাড়ি নয়, এর পেছনে থাকা প্রেম, ত্যাগ এবং একজন মুরারীর কথা ! শুনেছি কিভাবে বাড়িটির নাম মিয়ার দালান হলো এবং কিভাবে মিয়া পাড়া হলো । এই সঠিক ইতিহাস অনেকের অজানা আর যারা যতটুকু যানে তা সম্পূর্ন ভুল !! ১৯৫ বছর আগে ফিরে যাব তবে তার আগে "মিয়ার দালান" নামটার সাথে পরিচয় আমাদের হোক ! ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানার দিগনগর গ্রামের ইমান আলী মিয়ার চার ছেলে ১) গোলাম মোস্তফা মিয়া ২) ইসমাইল মিয়া ৩) বদর মিয়া ৪) হায়দার মিয়া আজ থেকে ৫৬ বছর আগে (১৯৬২) সালে ঝিনাইদহ শহরে এসে জানতে পারেন পাশের গ্রামে ( সে সময়ের পোড়াহাটি ইউনিয়নের ১২২ নাম্বার মৌজায় ) একটি পুরোনো বাড়ি বিক্রি হবে । ঝিনাইদহ সদর শহর থেকে এই গ্রামের দুরুত্ব ২.৫ কি: মি: , নবগঙ্গা নদীর উত্তর ধারে দাড়িয়ে থাকা দোতলা বাড়িটা ৫৬ বছর আগে দেখতে অসম্ভব সুন্দর ছিল !!! চুন-সুড়কির সঙ্গে ইটের গাঁথুনিতে তৈরি । দেয়াল ২৫ ইঞ্চি পুরু । উত্তর-দক্ষিণ...

উড়ে চলেছি বাতাসের ভেলায়, শূন্যতে অসংখ্য গল্প !! আমার শূন্যতায়, আমার অনুভবে ...

ছবি
শুন্য (০) ... গণিত শাস্ত্রে শূন্য’র ব্যবহার না থাকলে আজ আমরা হিসাব শূন্যতায় ভুগে মরতাম !!! আর সবথেকে বড় কথা হলো পৃথিবীটা সৌ্রজগতের মাঝখানে শূন্যে ঝুলে আছে। এতে করে এটা বলা যেতে পারে যে, জগতের সবকিছুই শূন্যের মাঝে অবস্থান করছে। আরে শুন্য থেকেই তো সব কিছুর শুরু। ০,১,২,৩,৪...... !! কিন্তু যখন এই শূন্যের আশে পাশে কিছু থাকে না, তখন ঐ আশপাশের জায়গাটাতে সৃষ্ট অবস্থার নামকেই বলা হয় “ শূন্যতা ”। জীবনটা হলো সেই বিচ্ছিন্ন কিছু সংখ্যা, সেই বিচ্ছিন্ন কিছু সমীকরণ .. যে সংখ্যা গুলোকে এখান থেখে ওখান থেকে কুড়িয়ে নিয়ে এসে হিসেবের খাতা ভরাতে হয় !! শূন্যতা পূরণ করতে হয় । 'শূন্যতা’ অনেক বড় একটা ভাবনার জায়গা ! শূন্যতা কতধরনের হতে পারে তা হয়ত আমি বলতে পারব না তবে কিছু কিছু শূন্যতা আমার হৃদয় ছুয়ে গেছে ! আমি যখন পরিবার, বন্ধু, আত্মীয়, শহর এবং সব কিছু ছেড়ে শূন্যে অবস্থায় বের হলাম তখন থেকেই আমার ওপর শূন্যতা ভর করে !! অনেক মানুষের মাঝে থাকলেও সে শূন্যতা আমি প্রতিটা মূহূর্তে অনুভব করতাম। হৃদয়ে ভালোবাসা শূন্যতা থাকার কারনে সে সময়ে আকাশ পাতাল অনেক ধরনের চিন্তা ভাবনা শুন্য মাথার ভেতর সারাক্ষন আড্ডা দিত ! ব্যাচ...